দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনার দুঃসময়ে আকাশচুম্বী বিদ্যুৎ বিলের বোঝা, এখন বড় দুশ্চিন্তা সাধারণ গ্রাহকের কাছে। লকডাউনের পর বাড়তি ১০ গুণ টাকা, গ্রাহকের কাঁধে চাপিয়ে দেয়ার বিলও তৈরি হয়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। বিতরণ সংস্থাগুলোর দাবি, ৩০ জুনের মধ্যেই নিষ্পত্তি করা হবে বিল সংক্রান্ত জটিলতা। এসব ভূতুড়ে বিল তৈরিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
করোনার থাবা থেকে রক্ষা পেতে প্রায় আড়াইমাসের সাধারণ ছুটিতে কার্যত স্তব্ধ ছিলো পুরো দেশ।
সবকিছুর মতো এ সময় বন্ধ হয়ে যায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার থেকে রিডিং নিয়ে বিদ্যুৎ বিল তৈরীর কাজও। সংকটের এই সময়ে তিন মাস পর্যন্ত গ্রাহকের বিলম্ব বিল পরিশোধের মাশুলেও ছাড় দিয়েছে সরকার। কিন্তু, গ্রাহককে সুবিধা দিতে গিয়ে বিল তৈরীর অনিয়মে এখন বড় ফাঁদে পড়েছেন গ্রাহকরাই।
ভুক্তভোগীরা জানান, লকডাউনের এই সময়ে কখনোই রিচার্জ বন্ধ রাখিনি। সর্বোচ্চ বিল ১২ হাজার টাকা আসে, সেখানে এক মাসে ২৪ হাজার টাকা ক্যানো আসলো? এই বাড়তি টাকা এখন কে দিবে?
মহামারীর এই দুঃসময়ে বিল সমন্বয়ের নামে প্রি-পেইড ও পোস্ট পেইড শ্রেণির ভুক্তভোগীদের দুশ্চিন্তা ‘প্রিন্সিপাল বিল’ নামের এই টাকা কী তবে গ্রাহকের ঘাড়েই বর্তাবে ?
ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার দাবি মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ গ্রাহকের বিলে অভিযোগ উঠেছে। তারা বলছেন, গরমে ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় এই জটিলতা তৈরী হয়েছে।